প্রত্যয় নিউজডেস্ক: প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট না হোক, ব্যাট-বল নিয়ে মাঠে নামার চর্চাটা শুরু হয়েছে। আবার ক্রিকেট মাঠে গড়িয়েছে। মাঝে এক সপ্তাহেরও কম সময়ে দু’ দিনের দুটি গা গরমের ম্যাচ খেলে ফেললেন তামিম, মুশফিক, রিয়াদ ও মুমিনুলরা।
গতকাল (মঙ্গলবার) শেষ হয়েছে দ্বিতীয় ওয়ার্মআপ ম্যাচ। আজ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিনের বিরতি। ১০ অক্টোবর অনুশীলন। আর ১১ অক্টোবর থেকে জাতীয় দল ও এইচপির ম্যাচ হোম অব ক্রিকেটে।
ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল, টি-টোয়েন্টি কাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও উদীয়মান তারকা নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে তিন দলকে নিয়ে ডাবল লেগের ওয়ানডে টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে আর মাত্র তিন দিন পরই।
বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, এই তিন দলের ওয়ানডে আসর দিয়ে ক্রিকেট চর্চা আবার শুরু হবে। তারপর নভেম্বরের মাঝামাঝি একটি প্রতিযোগিতামূলক টি-টোয়েন্টি আসর অনুষ্ঠানের চিন্তাভাবনা চলছে। পাপনের আশা, ঐ টি-টোয়েন্টি আসর দিয়ে আবার মাঠে ফিরবেন সাকিব। একই সাথে ঐ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক টুর্নামেন্টে মাশরাফিও খেলবেন বলে জানিয়েছেন বিসিবি বিগ বস।
এখন সেটা কি কর্পোরেট লিগ হবে? মানে কর্পোরেট হাউজগুলোর সরাসরি আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় নাকি বিসিবির প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে? তা নিশ্চিত নয়। বিসিবি বসের ভাষায়, ‘পুরোটাই কর্পোরেট হবে কি না, এটাই আলোচনা হচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে কম বেশি সব কর্পোরেট হাউজই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এরকম অবস্থায় তারা কি রাজি হবে অর্থ লগ্নি করতে?’
বিসিবি প্রধান যোগ করেন, ‘আসলে এই মুহূর্তে বলা কঠিন। তবে তারা যাদের দল নেয়ার কথা বলেছেন, তারা কোনো না কোনোভাবে বোর্ডের সাথে জড়িত। সুতরাং আমার মনে হয় না সমস্যা হবে।’
পাপনের যত চিন্তা প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে। ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট চালু করতে গিয়েই তাকে ভাবতে হচ্ছে। তাই বিসিবি সভাপতির মুখে এমন কথা, ‘সমস্যা হতে পারে প্রিমিয়ার লিগ চালু করা নিয়ে। আমরা লিগটাও চালু করতে চাচ্ছি।’
প্রিমিয়ার লিগ আয়োজনে বাধা কোথায়? এ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দুটি বাস্তব কারণ চিহ্নিত করেছেন। তার ব্যাখ্যা, ‘আমরা ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট আয়োজনে মুখিয়ে আছি। লিগ চালু করতে অবশ্যই আমি এক পায়ে খাড়া। কিন্তু লিগ আয়োজনের আগে দুটি প্রশ্নের উত্তর আগে জানতে হবে। এক নম্বর হলো, যাদের জন্য আয়োজন, সেই ক্লাবগুলো করোনাকালীন সময়ে প্রিমিয়ার লিগ খেলতে চায় কি না এবং দুই, ক্লাবগুলোর লিগ খেলা ও দল চালানোর মত অবস্থা আছে কি না।’
আরও একটি বিষয় ভাবাচ্ছে বিসিবি সভাপতিকে। সেটা হলো, ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও শারীরিক নিরাপত্তার বিষয়। এ সম্পর্কে পাপনের কথা, ‘ক্লাবগুলোর অধীনে থাক বা আমাদের অধীনেই থাক, সবার আগে হলো প্লেয়ারদের সিকিউরিটি। ক্রিকেটাররা যাতে কিছুতেই করোনায় আক্রান্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।’
পাপন যোগ করেন, ‘আমি মাঠ পর্যন্ত দিলাম। এরপর ছেড়ে দিলে ওরা (ক্রিকেটাররা) কি বাসায় যাবে, নাকি কোথায় থাকবে? এ বিষয়গুলোা দেখবে কে?’
বিসিবি সভাপতির শেষ কথা, ক্রিকেটারদের শারীরিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্ল্যানটা যদি আমাকে দিতে পারে, তাহলে প্রিমিয়ার লিগ আয়োজনে কোনো আপত্তি নেই।